পোস্টাল ভোট অ্যাপে ‘অ্যাঙ্গোলা’ না থাকায় ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ‘Angola’ প্রবাসী বাংলাদেশিরা
অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়ান্ডায় বসবাসরত প্রবাসী মো. মাঈনুদ্দিন গতকাল রাতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন। তিনি জানান, অ্যাপের দেশের তালিকায় আফ্রিকা মহাদেশের অধীনে অ্যাঙ্গোলার নাম নেই। ফলে তিনি এবং সেখানকার অন্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৯-২৩ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না।
মাঈনুদ্দিন তার চিঠিতে লেখেন,
“অ্যাপের আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোর তালিকায় ‘Angola’ দেশটির নাম উল্লেখ নেই। যার ফলে আমি এবং আমার মতো অ্যাঙ্গোলায় বসবাসরত অন্যান্য প্রবাসীরা নিবন্ধনে ব্যর্থ হচ্ছি। এমতাবস্থায় অনুগ্রহ করে তালিকায় ‘Angola’ নামটি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। অথবা অ্যাঙ্গোলার প্রবাসীরা কোন দেশ (যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা) নির্বাচন করে নিবন্ধন সম্পন্ন করবে, সে বিষয়ে দ্রুত নির্দেশনা দিন।”
অ্যাঙ্গোলায় বর্তমানে কয়েক হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রথমবারের মতো দেশের নির্বাচনে ভোট দিতে উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন ‘Postal Vote BD’ অ্যাপ চালুর খবরে। কিন্তু এই প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে তাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপটি গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে এবং এখনো কিছু দেশের নাম যোগ বা সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান থাকতে পারে। তবে অ্যাঙ্গোলা–সংক্রান্ত এই অভিযোগটিই প্রথম সরাসরি কমিশনে পৌঁছেছে।
কমিশনের একজন কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, “বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই দেশের তালিকা আপডেট করা হবে অথবা বিকল্প নির্দেশনা দেওয়া হবে।”
প্রবাসীদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তারা সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবং দাবি জানাচ্ছেন— নিবন্ধনের সময়সীমা না বাড়ালেও অন্তত অ্যাঙ্গোলাসহ যেসব দেশের নাম নেই, সেগুলো অতি দ্রুত যোগ করা হোক।
এই ঘটনা প্রবাসী ভোটারদের জন্য তৈরি করা ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রথম বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। আশা করা যায়, নির্বাচন কমিশন দ্রুত সাড়া দিয়ে কোনো প্রবাসী যেন ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করবে।