বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সিমেন্ট ও নির্মাণ সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হোলসিম গ্রুপ বাংলাদেশের প্রতি তাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। বুধবার স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় হোলসিম গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের প্রধান মার্টিন ক্রিগনার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।
টেকসই সমাধানের প্রতিশ্রুতি বৈঠকে বাংলাদেশের সিমেন্ট খাতের ব্যবহারিক প্রবণতা, শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব এবং হোলসিমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয়। ক্রিগনার জানান যে, তাদের চুনাপাথরের চাটক কারখানায় "অপুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক" জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা পরিবেশের উপর শূন্য প্রভাব ফেলে।
তিনি বলেন, "হোলসিম টেকসই সমাধান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পথিকৃৎ, এবং আমরা এই প্রযুক্তি বাংলাদেশেও প্রয়োগ করছি।" তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্যান্য দেশে তাদের কারখানায় চালু থাকা কার্বন ক্যাপচার প্রকল্প বাংলাদেশেও প্রয়োগ করা যেতে পারে।
বাংলাদেশি শিল্পের জন্য সম্ভাবনা হোলসিমের বাংলাদেশ অপারেশনের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল চৌধুরী বলেন, গত বছর দেশের শিল্পখাতে চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সুযোগও ছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী মাসগুলোতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
চৌধুরী জানান, সম্প্রতি হোলসিম বাংলাদেশে অ্যাগ্রিগেটস চালু করেছে, যা দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে শত শত মিলিয়ন ডলার সহায়তা করবে।
সরকারের সহায়তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ক্রিগনার বলেন, "বাংলাদেশে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকার আমাদের যে ক্রমাগত সহায়তা দিয়েছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।"
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া অধ্যাপক ইউনুস চুনাপাথর কারখানায় অপুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে জানতে চান। তিনি আশ্বস্ত হন যে, এই জ্বালানির ব্যবহার স্থানীয় অঞ্চলে কার্বন নিঃসরণ ঘটাবে না।
প্রধান উপদেষ্টা হোলসিমকে দেশের আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান এবং সরকারের ব্যবসা-বান্ধব এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ সমর্থনকারী অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি ক্রিগনার বাংলাদেশের বাজারে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, "আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
বৈঠকে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান সচিব সিরাজউদ্দিন সাথি উপস্থিত ছিলেন।