অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস আজ বুধবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যুব উদ্যোক্তা এক্সপো ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধন করেন। এই এক্সপোটি বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হিসেবে আয়োজিত হয়েছে।
দেশের উদ্যমী তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তা শক্তিকে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরার জন্য এই এক্সপোটি আয়োজন করা হয়েছে। এখানে উদীয়মান উদ্যোগ এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
তারুণ্যের উদ্যোগকে স্বীকৃতি প্রদান এক্সপো উদ্বোধনের সময় অধ্যাপক ইউনুস বলেন, "তারুণ্যের মধ্যে যে সৃষ্টিশীলতা এবং উদ্ভাবনক্ষমতা রয়েছে, তা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। যুব উদ্যোক্তাদের উদ্যোগকে বিকশিত করার মাধ্যমে আমরা কেবল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও বিপ্লব ঘটাতে পারি।"
এক্সপোতে দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের নানামুখী প্রকল্প এবং ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে উপস্থিত বিনিয়োগকারীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে তারা তরুণদের নতুন ধারণা এবং উদ্যোগে সমর্থন এবং অর্থায়ন করবে।
বিনিয়োগ ও সহযোগিতার নতুন দিগন্ত এই এক্সপো তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। একদিকে যেমন তারা তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন, অন্যদিকে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সমর্থন লাভের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের তরুণ প্রজন্মের জন্য নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ এবং বিনিয়োগবান্ধব নীতিগুলোর প্রশংসা করেন। তারা বলেন, এই ধরনের ইভেন্ট উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে তারুণ্যের ভূমিকা এক্সপোতে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে তরুণদের উদ্ভাবন এবং উদ্যোগের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের আর্থিক ও শিল্পখাতে স্থায়িত্ব বজায় রাখতে তরুণ উদ্যোক্তাদের সমর্থন করা অপরিহার্য।
সমাজে ইতিবাচক প্রভাব যুব উদ্যোক্তা এক্সপো ২০২৫ বাংলাদেশের যুব সমাজকে নতুন স্বপ্ন দেখার এবং তা বাস্তবায়নের সাহস জোগাবে। এটি কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতেও সহায়ক হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদী।