নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা অনুযায়ী, কম্পিউটার সায়েন্সের নতুন স্নাতকরা ৬.১% থেকে ৭.৫% বেকারত্বের হারের মুখোমুখি হচ্ছেন, যা জীববিজ্ঞান এবং শিল্পকলার ইতিহাসের স্নাতকদের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। টেকক্রাঞ্চের একটি প্রতিবেদনে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রযুক্তি খাতে চাকরির বাজারের বর্তমান সংকটকে তুলে ধরেছে।
বাস্তব অভিজ্ঞতা
মানসী মিশ্রা, ২১ বছর বয়সী একজন পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, ছয় অঙ্কের বেতনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মাত্র একটি সাক্ষাৎকারের সুযোগ পেয়েছিলেন, তাও চিপটল রেস্তোরাঁয়, যেখানে তিনি চাকরি পাননি। এদিকে, জ্যাক টেলর, ২০২৩ সালে ওরেগন স্টেট থেকে স্নাতক, প্রায় ৬,০০০ চাকরির জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু মাত্র ১৩টি সাক্ষাৎকার পেয়েছেন এবং কোনো চাকরির প্রস্তাব পাননি। এমনকি ম্যাকডোনাল্ডসও তাকে "অভিজ্ঞতার অভাব" এর কারণে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সমস্যার কারণ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই প্রোগ্রামিং টুলস জুনিয়র পজিশনগুলো কমিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া, অ্যামাজন, মেটা এবং মাইক্রোসফটের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ব্যাপকভাবে কর্মী ছাঁটাই করছে। ছাত্ররা বলছেন, তারাHannah
এআই ডুম লুপ
ছাত্ররা একটি "এআই ডুম লুপ"-এ আটকে আছেন, যেখানে তারা এআই ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে চাকরির জন্য আবেদন করছেন, আর কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে তাদের আবেদন কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রত্যাখ্যান করছে। এই পরিস্থিতি চাকরির বাজারকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আশার আলো
তবে, মানসী মিশ্রা একটি কোল্ড অ্যাপ্লিকেশন এবং টিকটকে চাকরির বাজারের সমস্যা নিয়ে সচেতনতামূলক পোস্টের মাধ্যমে অবশেষে একটি চাকরি পেয়েছেন। এটি দেখায় যে সৃজনশীল পন্থা এবং সামাজিক মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার এই কঠিন পরিস্থিতিতে সুযোগ তৈরি করতে পারে।
কম্পিউটার সায়েন্সের স্নাতকদের জন্য চাকরির বাজার এখন একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তবে, নতুন কৌশল এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।